top of page

রোমান্টিক গল্প

এক জন রিক্সাওয়ালার গল্প.....................
রিক্সা চালাই। বিয়ে করেছিলাম
আজ থেকে এক বছর আগে।আমার মতই এক
গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি।
,
অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে
নিয়েছিলো ও।বুঝতে পারি বউ আমায় খুব ভালবাসে।
আমি যখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরি,ও আমার জন্য
গোছলের পানি তুলে দেয়।মাঝেমাঝে আমিও
অবশ্য তুলে দেই।
বাড়িতে কারেন্ট নাই,খেতে বসলে ও পাখা দিয়ে
বাতাস করে।
গরমের রাতে দুজনে অদল বদল করে পাখা দিয়ে
বাতাস করি,ভবিষ্যৎটাকে সাজানোর গল্প করি দুজনে।
গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম
বুঝতে পারতামনা।
,
রিক্সায় বড়বড় সাহেবরা তাদের বউকে নিয়ে উঠত।
দুজনে মিলে অনেক গল্প করত।
সাহেবদের কাছে শুনতাম তারা যেদিন বিয়ে
করেছে সেদিন আসলে তারা নাকি অনুষ্ঠান, পার্টি না
কি জানি করে ।এই সব আমার জানা নেই।
যখন শুনতাম আমারো ইচ্ছে করত বউকে একটা
শাড়ী কিনে দিতে।বউকে যে খুব ভালবাসি আমি।
কিন্তু পারিনা।অভাবের সংসার, দিন আনি দিন
খাই।তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম।ওটাতে রোজ
দু'চার টাকা করে
ফেলতাম।
,
দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা
বছর হয়েগেল।
আজ সকালে
রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে
গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির
ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গে দেখলাম সেখানে
প্রায় ৪৮০ টাকা হয়েছে।
বাসা থেকে বের হবার আগে বউকে বলেছিলাম,
আজ বাড়িতে ফিরতে দেরী হবে।
বউ মাথা নাড়ে,বলে ভালো কইরা থাকবেন।
চলেগেলাম রিকশা নিয়ে।
সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মার্কেটে
গিয়েছিলাম
বউয়ের জন্যে একটা শাড়ী কেনার জন্য।
আজরাতে বউকে দিব।
,
ঘুরে ঘুরে অনেক শাড়ীই দেখছিলাম,পছন্দ হয়
কিন্তু দামের জন্য বলতে পারিনা।
অবশেষে দোকানীকে বললাম,
--ভাই এই কাপড়টার দাম কত?
--১৫০০ টাকা।
আমার কাছে তো আছে মাত্র ৪৮০ টাকা।তাই ফিরে
আসলাম। মার্কেট থেকে বের হয়ে
বাহিরে বসে থাকা দোকানদারদের থেকে ৪৮০
টাকায় একটা শাড়ী কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
মাঝেমধ্যে ভাবি,এই দোকান গুলো যদি না
থাকত,তাহলে কত কষ্ট হত আমাদের মত গরিবদের।
ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ঢুকলাম।
অনেকদিন পর বউকে কিছু একটা দিতে
পারব,ভাবতেই বুকটা খুশিতে ভরে উঠছে বারবার।
,
রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরার ভান করে শুয়ে আছি।
বারটা বাজার
অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছি।
কল্পনার জগতে ভাসছিলাম,বউকে দেবার পর
বউ কি বলবে?কতটা খুশি হবে?
__
রাত বারটা বেজে গেল।বউকে ডেকে
তুললাম।
ডেকে তুলে বউয়ের হাতে
শাড়ীটা তুলে দিয়ে
বললাম, বউ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।আজকের
তারিখে তুমি আমার এই কুড়ে ঘরটাতে এসেছিলে।
আমার পক্ষথেকে তোমার জন্য এই ছোট্ট
উপহার।
বউ শাড়িটা বুকে জড়ায়,চোখ দিয়ে পানি ঝরতে
থাকে ওর।
তারপর উঠে গিয়ে ট্রাঙ্কটা খুলে শাড়িটা রেখে
দেয়।
তারপর কি যেন বের
করে।
আমি উকি মেরে দেখার চেষ্টা করেও দেখতে
পাইনা।
বউ ট্রাঙ্কটা বন্ধ করে আমার হাতে
একটা লুঙ্গি দিল।কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আমি। কারন
টাকা পেল কোথায়? জিজ্ঞাসা করলাম,
--টাকা পেলে কোথায় তুমি?
--অনেকদিন আগে থেকে প্রত্যেকদিন একমুঠ
করে চাল খাবারের চাল থেকে আলাদা করে
জমিয়ে রাখতাম।জমিয়ে জমিয়ে কিছুদিন আগে
পাশের বাসার ভাবির কাছে বিক্রি করে দিছি।সেই টাকা
দিয়ে লুঙ্গি কিনছি।ভাবছিলাম আজকে দিব, আপনি তো
এসেই ঘুমিয়ে পরলেন।তাই ঠিক করছিলাম কাল
সকালে দিবো।
আমি কিছু বলতে পারলামনা।শুধু লুঙ্গিটা
উল্টিয়েপাল্টিয়ে
দেখছিলাম।
তারপর বললাম,শুনছি বড় সাহেবরা নাকি বিয়ের দিন
তারিখে কেক কাটে।
বউ বলে,আমাদের কি অত টাকা আছে?
--বাসায় মুড়ি আছে।
--আছে।
--যাও সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি নিয়ে এসো।সাথে
একটা কাঁচামরিচ
আর একটা পিয়াজ আনিও।
--আচ্ছা দাড়ান আনতেছি।
টিনের ফাক আর জানালা দিয়ে চাঁদের আলো
আসতেছে।দুজন জানালার পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছি,
আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছি
__
ছোট ছোট গিফট আর অফুরন্ত ভালবাসায় বেঁচে
থাকুক আমাদের মত রিকশা ওয়ালাদের জীবন..........

 

"পৃথিবীতে সব ভালবাসা পূর্নতা পায় না"

 মেয়ে :----তুমি সিগারেট খাও?
ছেলে :----হুম,
মেয়ে :----কালকে থেকে আর খাবে না..
ছেলে :----কেন?
মেয়ে :----আমি বলেছি তাই……
ছেলে :----কে আপনি?
মেয়ে :----জানিনা……
-
-
মেয়ে : ----তুমি রাত জাগো?
ছেলে :----প্রতিটি রাতই!
মেয়ে :----আজকে রাত থেকে সুন্দর করে ঘুমাবে……
ছেলে :----
বললেই হল?
মেয়ে ----হুম
-
-
মেয়ে :----তুমি সবসময়ই এত অগোছালো থাকো কেন? চুল-দাড়ি
কাটো না কেন?
ছেলে :----গোছানোর কিছুই নেই,
অগোছালোই ভালো লাগে………
মেয়ে :----কেন?
ছেলে ;----যে মানুষটা গুছিয়ে দেবে
বলেছিল? সে আজ অন্য কাউকে
গুছাতে ব্যস্ত তাই…… -
-
মেয়ে :----আচ্ছা, তুমি এত শুকিয়ে গেছ কেন? খাওয়া-দাওয়া
ঠিকমত কর না বুঝি?
ছেলে :----হুম, করি না……
মেয়ে :----কেন?
ছেলে :----খোজ রাখার মানুষ নেই, তাই……
-
মেয়ে :----সারাদিন কি পথে পথেই ঘুরে বেড়াও?
ছেলে : ----হুম…
মেয়ে :----কেন?
ছেলে :----যাকে নিয়ে ঘর বাধতে চেয়েছিলাম? সে আজ পর,
তাই
আমিও যাযাবর………
-
মেয়ে :----তুমি সবসময়ই এত Sad থাকো কেন?
ছেলে :----কারণ দুঃখ-কষ্টই আমার আপন।
মেয়ে :----কাউকে ভালবাসতে?
ছেলে :----হুম, জীবন দিয়ে
ভালবাসতাম………
মেয়ে :----এখনো?
ছেলে : ----না………
মেয়ে :----সে যদি ফিরে আসতে চাই?
ছেলে :----পথ নেই, তাছাড়া এ মনেও তার জন্য জায়গা নেই………
মেয়ে :----আচ্ছা তুমি স্বপ্ন দেখনা?
ছেলে :----দেখতাম একসময়, এখন দেখি না।
মেয়ে :----কেন?
ছেলে :----কারণ, স্বপ্নগুলো সব ফাকি দিয়ে কষ্ট দিয়ে
গেছে, তাই……… -
-
মেয়ে :----আচ্ছা তুমি এভাবে নিজেকে
তীলে তীলে মূত্যুর দিকে ঠেলে
দিচ্ছ কেন?
ছেলে :----বেচে থাকার ইচ্ছা নেই
মেয়ে :----নতুন করে জীবন শুরু
করতে পার
না? স্বপ্ন দেখতে পার না?
ছেলে :----না……
মেয়ে :----কেন?
ছেলে :----তার সাথে ওয়াদা করেছিলাম,
জীবনে মরনে দুজনা একসাথে থাকব। বাচলে একসাথে বাচব,
মরলেও একসাথে মরব………
মেয়ে :----সে তো ওয়াদা ভঙ্গ করে বিয়ে করেছে অন্য
একজনকে………
ছেলে :----কিন্তু আমি তা করতে পারব না………
-- --
মেয়েটি কাদছে। আর ছেলেটি
আকাশপানে চেয়ে কি যেন খুজছে
আর হাসছে। হইত সে শেষ বিকেলের
ডুবন্ত রক্তিম সূর্যের মাঝে সেই
মানুষটির হাসিমাখা মুখ খুজে বেরাচ্ছে। কিন্তু মানুষটি তার
পাশেই বসা!
এই মেয়েটিকেই ছেলেটি একদিন তার জীবনের থেকেও বেশী
ভালবাসতো।
কিন্তুু মেয়েটি একদিন ছেলেটিকে একা করে দিয়ে অন্যকারো
হয়ে যায়, সেই থেকে ছেলেটি পাগল........ ,,

 

 

 

অবশেষে তোমায় পেলাম

._হ্যালো, কি করো। (ছেলে)
_কিছু না তুমি কি করো?( মেয়ে)
_বসে আছি।
_কলেজে আসবা কখন?
_একটু পরেই। তুমি।
_আমিও।
_সাবধানে আসবা।
_তুমিও সাবধানে আসবা।
_অকে, বাই পরে কথা হবে।
_অকে, বাই।
.
এতক্ষন কথা হচ্ছিল এক টা ছেলে আর মেয়ের
মাঝে।
ছেলে টার নাম পিয়াস আর মেয়ে টির না আশা।
দুইজনই অনার্স ২য় বর্ষ এ পড়ে।
দু জন দুজনকে খুব ভালবাসে।
কলেজে তাদের জুটি টা একদম পারফেক্ট
জুটি।
তাদের ভালবাসা দেখে অন্য সবার
হিংসা হয়।.
.
কলেজে ক্যাম্পাসে বসে আছে পিয়াস
আর আশা।
_এই শুনছো। (আশা)
_হুম বলো।(পিয়াস)
_আমাদের প্রথম বাবু হলে তার নাম
রাখবো বৃষ্টি।
_কিন্তু বৃষ্টি তো মেয়েদের নাম।
_হুম। আমাদের প্রথম মেয়ে বাবু হবে।
_না ছেলে হবে। আর ছেলের নাম হবে মেঘ।
_না, মেয়ে হবে।
_না ছেলে হবে।
_মেয়ে
_ছেলে।
_আচ্ছা তোমার কথাই হলো ছেলে হবে।
_ না তোমার কথা মত মেয়ে হবে।
_আমি বলছি ছেলে হবে।
_আমি বললাম মেয়ে হবে।
_আচ্ছা বিয়ের পর দেখা যাবে। আল্লাহ আমাদের
যাই দিক আমরা তাতেই খুশি থাকবো।
.
এভাবে তাদের ভালবাসা এগিয়ে চলে।
.
একদিন পিয়াস এর বাসাই অর
মামাতো বোন রিয়া
বেড়াতে আসে।
রিয়া এবার এসএসসি
দিলো।
_পিয়াস রিয়া কে নিয়ে
বাইয়ে কোথাও থেকে ঘুরে
আয়।মেয়ে '
টা একা একা বসে থাকে রুমে।(পিয়াসের আম্মু)
_আচ্ছা আম্মু।অই রিয়া রেডি হয়ে নে। (পিয়াস)
_আচ্ছা ভাইয়া।
কিছুক্ষন পর
_ভাইয়া আমি রেডি।( রিয়া)
_অকে চল।
তারপর এক রিক্সা তে পাশাপাশি বসে পার্কের
উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলাম।
পার্কে এসে রিক্সা ভাড়া দিয়ে ভিতরে প্রবেশ
করলাম।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি
প্রেমিক-প্রেমিকা বসে আছে।
১০ টাকার বাদাম কিনে
দু জন খেতে লাগলাম।
.
_ভাইয়া দেখেন আমার চোখে কি পড়েছে।(রিয়া)
আমি ওর চোখে ফু দিয়ে
বাদামের খোসা বের করলাম
যেটা বাতাসে ওর চোখে
প্রবেশ করেছিল।
এমন সময় আশা অই পার্কে ওর বান্ধবীর
সাথে যাই।
গিয়ে দেখে পিয়াস এক টা মেয়ের
সাথে বসে আছে।
দেখে মনে হচ্ছে কোন
প্রেমিক প্রেমিকা বসে চুটিয়ে প্রেম করছে।
এটা দেখে আশা নিজে কে
কন্টোল করতে পারে না
পিয়াস কাছে গিয়ে ঠাস করে এক
টা চড় মারে পিয়াস এর গালে।
চড় খেয়ে পিয়াস হতবাক হয়ে যাই।
.
_এই তোর ভালবাসা।
পার্কে এসে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম
করা হচ্ছে। (আশা)
আশা যখন রেগে যাই তখন
তুই তোকারি শুরু করে দেই।
পিয়াস ভাবছিল এখন কিভাবে
পরিস্থিতি কন্টোল করবে।
_আশা তুমি যা ভাবছ তা নয়।(আমি)
_আমাকে কি বোকা পেয়েছিস।
আমি কি কচি খোকা যে কিছুই
বুঝি না।
_আশা বিশ্বাস করো ও কাজিন রিয়া।
_পিয়াস ভাইয়া ঠিক কথাই বলেছে আপু।
আপনি যা ভাবছেন তা নয়,
আমি ওর মামাতো বোন। (রিয়া)
_অই মেয়ে তুই চুপ থাক। আমি পিয়াস এর
সাথে কথা বলছি। পিয়াস তুমি যে এত নিচ তা আমি
আগে জানতাম
না।
_প্লিজ বিলিভ করো আমাকে।
_তোমার সাথে আজ কের পর থেকে কোন
রিলেশন নাই
তোমার সাথে আমার ব্রেকাপ।
আমার সাথে আর যোগাযোগ করার
চেষ্টা করবে না।
ব্রেকাপ কথা টি বলেই আশা চলে যেতে
উদ্যত হলো।
পিয়াস আশা অনেক ভাবে বুঝালো।
বাট আশা বুঝলো না।
উল্টা পিয়াস কে
চড় মেরে
আশা কাঁদতে কাঁদতে
চলে গেল।
.
আশার চলে যাওয়ার পথের দিকে
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
থাকল পিয়াস।
পিছন থেকে অনেক বার ডাকলো।
কিন্তু আশা পিয়াসের
কথা শুনলো না।
.
পিয়াস কাঁদতে কাঁদতে ওখানেই বসে পড়ল।
রিয়া এগিয়ে এসে বলল,
_ভাইয়া, আজ আমার জন্য
তোমার
এই অবস্থা। আমাকে ক্ষমা করে দিও।(রিয়া)
পিয়াস কাঁদতে কাঁদতে বলল
_তোর কোন দোষ নেই রে , এটা আমার কপাল।
(পিয়াস)
_ভাইয়া, সব ঠিক হয়ে যাবে।
আপু একদিন তার ভুল অবশ্যয় বুঝতে পারবে।
সেদিন দেখো আপু তোমার কাছে
আবার ফিরে আসবে।
_তাই যেন হয়।
_আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।
_হুম।
.
পিয়াস আর রিয়া বাসায় আসলো।
বাসায় এসে পিয়াস বলল,
আজ রাতে সে খাবে না।
রুমে গিয়ে পিয়াস আশা কল
দিলো
বাট আশার ফোন ফোন ধরছে না।
তারপর আশা ফোন বন্ধ করে
দেই।পিয়াস তাড়াতাড়ি
ফেইসবুকে ঢুকে দেখলো আশা
ওকে
ব্লক করে দিয়েছে।
খুব কষ্ট পেল পিয়াস।
আশা কে সে মন প্রান দিয়ে ভালবাসে।
আশার নাম্বারে অনেকগুলা ম্যাসেজ
করলো।
.
কষ্টে রাত টা পার করে দিল পিয়াস।
এদিকে আশার অবস্থাও ভাল না।
আশা ভাবতে লাগল
পিয়াস এর সাথে ওরকম
ব্যবহার করা টা ঠিক
হয়নি।
পিয়াসের কথা সত্যি হতে পারে।
মেয়ে টা তো পিয়াসের
কাজিন ও। হতে পারে।
.
তাছাড়া পিয়াস কে চড়
মারা টা
ঠিক হয়নি।
এসব ভাবতে ভাবতে ২ দিন
অতিবাহিত হলো।
আশা ফোন খুলে দেখে পিয়াস এর ৫০৯ টা
ম্যাসেজ।
শেষ ম্যাসেজ টা এসেছে
ঘন্টা খানেক আগে।
তাতে লেখা ছিল,
"""তোমাকে খুব ভালবাসি। তুমি
জানো কি জানো না তোমার সাথে কথা না
বলে আমি থাকতে
পারি না।আজ দুই দিন তোমার সাথে
কোন যোগাযোগ নাই।
জানো আমার দম বন্ধ হয়ে আচ্ছে
তোমার সাথে কথা না বলে
থাকতে।
তুমি আমাকে ভুল বুঝো না।
আমার সাথের মেয়ে টা
আমার কাজিন
হয়। আমাদের বাসায় বেড়াতে
এসেছিল তাই ওকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেছিলাম।
বিলিভ করো ওর সাথে আমার
কোন সম্পর্ক নেই।
আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
কিন্তু তুমি আমাকে ভুল
বুঝে দুরে সরে আছো।
তোমার অবহেলা নিয়ে বেচে
থাকা আমার
পক্ষে সম্ভব না।
তাই আমি না ফেরার দেশে চলে
যাচ্ছি। ভাল থেকো আর নিজের
খেয়াল রেখো।""
ম্যাসেজ টা পড়েই আশা পাগলের মত কাঁদতে
লাগলো।
যে মানুষ ওকে এত ভালবাসে
তাকে এত কষ্ট দিতে পারলো কিভাবে।
.
সে তাড়াতাড়ি পিয়াস এর নাম্বার এ ফোন দিল।
_হ্যালো পিয়াস। তুমি কোথায়?
তুমি ঠিক আছো
তো?(আশা)
_আশা আপু আমি পিয়াস ভাইয়ের
কাজিন রিয়া বলছি।
পিয়াস ভাইয়া হাতের রগ
কেটে সুইসাইড করার চেষ্টা
করেছিল।
তাকে এখন হাসপাতালে আনা হয়েছে।
আশা কাঁদতে কাঁদতে বললো কোন
হাসপাতালে?
_ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
_অকে আমি আচ্ছি।
.
আশা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে গেল।
গিয়ে দেখলো পিয়াসের হাত ব্যান্ডেজ করা।
পিয়াসের জ্ঞান এখনো ফেরে নি।
রিয়ার দেখে অর কাছে গিয়ে
ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে
কাঁদতে বলল,
_আজ আমার জন্য পিয়াসের এই অবস্থা।
সেদিন যদি আমি ওর সাথে যদি
খারাপ ব্যবহার না করতাম তাহলে আজ
পিয়াসের অই অবস্থা হতো না।(আশা)
_চিন্তা করো না আপু,সব ঠিক হয়ে যাবে।(রিয়া)
ডাক্তার এসে বলল- রোগীরর জ্ঞান ফিরেছে।
আশা দৌড়ে গিয়ে কেবিনে ঢুকলো ।
_আমার ক্ষমা করে দাও
পিয়াস। আমি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম।
আর আমার জন্য তোমার এই অবস্থা।
কেন করতে গেলে এমন টা।(আশা)
_তোমাকে খুব ভালবাসি। তাই তোমাকে ছাড়া বাঁচতে
পারবো না।(পিয়াস)
_খুব ভালবাসো আমাকে ?
_হুম আমার জিবনের চেয়েও বেশি।
তোমাকে খুব ভালবাসি বলেই আশা
পিয়াস কে জড়িয়ে ধরলো।
হঠাং রিয়া বলে উঠলো, ভাইয়া
ভাবি এসব কি হচ্ছে।
কথা টি শুনে আশা খুব
লজ্জা পেল।
লজ্জা পেয়ে পিয়াসের বুকের
মাঝে লুকিয়ে রইলো।


 

 

অসাধারণ ভালবাসা.....................................

ওর সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো।
বাসররাতে ওর প্রথম প্রশ্ন ছিলো, কয়টা প্রেম করছেন?
আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম
অনেকক্ষন।
আবার বলেছিলো, কয়টা প্রেম করছেন?
আমি বলেছিলাম একটাও না!
উওরটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিলো।
বলেছিলো,এখন থেকে শুধু আমাকেই
ভালোবাসবেন অন্য কোন মেয়ের দিকে
তাকালে মেরে ফেলবো।
ও আমাকে কতটা ভালোবাসে
বুঝেছিলাম সেই দিন, আমি ওর চাচাতো বোনের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলাম।
ও আমাকে জড়িযে ধরে সে কি
কান্না।
আমাকে বলেছিলো তোমাকে না
বলেছি আর
কারো সাথে কথা বলবে না। আমি
মরে
গেলে ইচ্ছে মত কথা বলো তখন আর
নিষেধ
করবো না!
ওর কান্না দেখে আমি নিজেই
কেদেছিলাম।
ও আমাকে বলেছিলো, আমি নাকি
বাবা
হবো।
কথাটা শুনে যে কি খুশি হয়েছিলাম
বোঝাতে পারবো না!
ওকে কোলে করে সারা পাড়া
ঘুরেছিলাম।
ও আমাকে বলতো রান্না করার সময়
ওকে
পিছন থেকে জড়িয়ে না ধরলে ওর
নাকি
রান্না করতে ইচ্ছে করে না।
আমি ওর সব আবদার হাসি মুখে পুরুন
করতাম।
বড্ড ভালোবাসতাম ওকে।
এখনো বাসি।
ও আমাকে বলেছিলো আমাকে
জড়িয়ে ধরে
না ঘুমালে নাকি ওর ঘুমই আসে না!
সারারাত জড়িযে ধরে থাকতো।
তাই কোথাও রাতে থাকতাম না যত
রাতই
হোক বাসায় আসতাম।
ও যখন ৬ মাসের অন্তঃসন্তা তখন
আমাকে
বলেছিলো, আমাকে ছাড়া তোমার
কেমন
লাগবে গো?
আমি ওর কথা উওর দিতে পারি নি শুধু
কেদেছিলাম।
ও আমাকে প্রায় বলতো, আমার যদি কিছু
হয়ে
যায় তুমি আবার আরেক টা বিয়ে করো
না
যেন!
মরে গিয়েও তোমাকে অন্য কারও হতে
দিবো
না।
আমাকে ভুলে যেও না।
ওর কথা শুনে কাদতাম।
ঘুমানোর সময় আমাকে বলতো, আমাকে
ছাড়া
ঘুমানোর চেষ্টা করো।
বলা তো যায় না।
আমি ওকে আরও শক্ত করে
জড়িযে
ধরতাম।
একদিন ওর ব্যথা উঠলো। সাথে সাথে
ওকে
হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।
ও আমাকে বলেছিলো, আমার যদি কিছু
হয়ে
যায় প্লিজ আমাকে ভুলে যেও না!
বড্ড ভালোবাসি তোমাকে।
কথাটা শুনে কান্না ধরে রাখতে
পারি নি।
ওকে বলেছিলাম,কিছু হবে না তোমার
আমি
তো আছি।
কিছু হতে দিবো না।
ও আমাকে বলেছিলো, শেষবারের মত
একবার
বুকে নিবে?
কথাটা বলেই হাউ মাউ করে কেদে
দিয়েছিলো।
আমিও কান্না ধরে রাখতে পারি নি।

আমাকে ছেড়ে দিতে চাইছিলো না
জড়িয়ে
ধরে কাদছিলো।
আমিও কাদছিলাম সবাই হা করে
তাকিয়ে
ছিলো।
নিয়েছিলাম ওকে বুকে কিন্তু এটাই
যে
শেষবার বুঝতে পারি নি। বুঝতে
পারলে
কখনোই ছেড়ে দিতাম না। ও আমাকে
বলছিলো, আমার সাথে তুমিও চলো
আমার খুব
ভয় করছে। ডাক্তারকে কত বার
বলেছিলাম
আমিও ওর পাশে থাকবো।
কিন্তু আমাকে যেতে দিলো না।
O T থেকে একটা বাচ্চার কান্নার
আওয়াজ
শুনলাম।
বাচ্চাকে পেলাম কিন্তু ওকে আর
পেলাম না।
পাগলেন মত ওর কাছে গেলাম,দেখলাম
সাদা
কাপড় দিয়ে ওকে ঢেকে রাখছে।
কাপড়টা সরাতেই অজ্ঞান হয়ে
গেছিলাম।
জ্ঞান ফিরার পর দেখলাম ওকে
খাটনিতে
শুয়ে রাখছে।
ওর কাছে গেলাম,
বলেছিলাম,
এই কই যাও আমাকে ছেড়ে?
আমার রাতে ঘুম হয় না তোমাকে
ছাড়া
জানো না?
তোমাকে না জড়িয়ে ধরে ঘুমালে আমার
ঘুম হয় না
জানো না?
কেন চলে যাচ্ছো?
এই উঠো উঠো অনেক তো ঘুমালা আর কত
ঘুমাবে?
আমার কথা মনে পড়ে নি?
এই তুমি না বলেছিলে আমার চোখের
জল
তুমি সহ্য করতে পারো না!
এই দেখো আমি কাদছি, এই উঠো আরে
উঠো
না।
প্লিজ উঠো।
ও শুনলোই না আমার কথা ঘুমিয়ে
থাকলো!
ওকে যখন নিয়ে যাচ্চিলো আমি
পাগলের মত
আচরন করছিলাম।
তবুও উঠলো না!
চলে গেলো।
ও আমাকে বলতো যে দিন হারিয়ে
যাবো
সেই দিন বোঝবে কতটা ভালোবাসি
তোমাকে।
চলে গেলো, হারিয়ে গেলো।
১০ বছর ধরে তার স্মৃতি বুকে নিয়ে
বেচে
আছি।
ছোট্র মেয়ে বুঝতে শিখেছে, আমাকে
বলে
আব্বু আম্মুর জন্য আর কেদো না তোমাকে
আর
কাদতে দিবো না। বলে চোখের
পানি মুছে
দেয়। আবার চোখ জলে ভরে উঠে আবার
মুছে
দেয়।

এই শুভক্ষনে আমি তোমাকে .....................

আজ পারভেজ ও মিম এর বাসর রাত।
পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে
হয়েছে।
মিম শিক্ষিত মেয়ে এবং পারভেজ
পড়ালেখা শেষ করে নিজেদের
পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করে।
.
.
রাত ১২:৩০
পারভেজ বাসর ঘরে আসলো সবাই কে
বিদায় জানিয়ে। মিম খাট থেকে
নেমে
পারভেজ এর পা ছুয়ে সালাম করলো।
পারভেজ মিম কে উঠিয়ে খাটের উপর
বসাল।পারভেজ মিম কে বলল "আজ
আমাদের
বাসর রাত। সবার মতই আমাদের জীবনেও
বহু
প্রতিক্ষিত রাত এই রাত।
!
""""
"""
আজ এই শুভক্ষনে আমি তোমাকে কিছু
কথা
বলতে চাই আশা করি মনযোগী হয়ে
শুনবে।
.
.
কাল কেও তুমি শুধু একটা মেয়ে ছিলে।
আজকে তুমি কারো স্ত্রী, কারো
সংসারের
বউ। কারো ভাবি, কারো জা,কারো
চাঁচি,
কারো মামী।আজ থেকে তোমার
অনেক
দায়িত্য বেড়ে গেছে। যেহেতু আমরা
পরিবারের কথা মত বিয়ে করেছি তাই
হয়তো একে অপরকে জানার সময় কম
পেয়েছি।
তবুও কিছু কথা
.
.
আজ থেকে তুমি আমার স্ত্রী এবং আমি
তোমার স্বামী। যেহেতু আমাকে
তোমার
বর হিসেবে মেনে নিয়েছি তাই মনে
করছি
আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেছ।আর
আমাকে যদি তোমার যোগ্য করে কেউ
গড়ে
তোলে তারা হল আমার আব্বু আম্মু।
আশা করি তুমি তাদের কে সম্মান
দিয়ে
চলবে।তাদের কে নিজের আব্বু আম্মু
মনে
করবে।
.
.
তারা আমাকে তোমার যোগ্য করেছে
তার
মানে তারা আমার থেকে অনেক
বেশি
যোগ্য তাই তারা বয়সের কারনে হয়তো
রাগারাগি করতে পারে। তখন তুমি
তাদের
সামনে মাথা নত রেখে নরম স্বরে কথা
বলবা।
কারন " কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ
রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে
হবে
এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি
ভুল।
এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি
পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের
হাসিটা
হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ়
প্রতিজ্ঞ।"
.
.
যদি তুমি তাদের রাগের সময় ভাল
ব্যবহার
কর তাহলে তারা আর কখনই তোমার
সাথে
রাগবে না।যদি তুমি আব্বু আম্মুকে মন
থেকে ভালবাসো তাহলে তারা
তোমাকে
অনেক আশির্বাদ করবে যা অমুল্য।
.
.
তোমাকে রান্না করতে হবে।আম্মু যখন
রান্না করবে তখন তুমি আম্মু কে গিয়ে
বল
যে আম্মু আমি রান্না পারি না
আমাকে
শিখাবেন?? আম্মু খুশি হবে। তোমাকে
রান্না করতে হবে না তখন তবু খুশি
থাকবে।
বিকেলবেলা একটু চা বানিয়ে
তাদের কে
দিয়ে আসলে তারা অনেক খুশি হবে
তোমার উপর।
.
.
শুনেছি সব ভাবিরা নাকি ননদ, জা
দের কে
দেখতে পারে না।তুমি এই ধারনা
পাল্টে
দিবা। আমার বোন রা ৬মাস পর হয়তো
আসবে থাকবে ৬দিন। এই ৬দিন তাদের
কে
নিজের বোন মনে করে আদর কর যেন
পরের
বার তোমার টানেই আসে আবার।
.
.
তুমি হয়তো জানো না যে একবার আমি
অসুস্থ হইছিলাম এবং আমার আব্বু আম্মু
ছিল
না। আমার ১ বোন সারারাত আমার
মাথার
পাশে না ঘুমিয়ে সেবা করেছিল এখন
ভাবো তুমি তাদের কে কেমন
ভালবাসবে?
.
.
আমার বড় ভাই আছে যে আমার চাওয়ার
আগেই আমার অভাব পুরন করছে আশা
করি
তুমি তাকে নিজের ভাইয়ের মত
দেখবে।
যদি ভাইয়ার কাছে কিছু আবদার কর
তাহলে
তিনি তোমার উপর খুশি হবে। আর
ভাবি
তো তোমাকে বোন বানিয়েই
ফেলেছে।
.
.
আমাদের বাড়িতে অনেক
বাচ্চাকাচ্চা
আছে।তাদের কে আদর করবে সারাদিন
তাদের সাথে সময় কাটাবে
একঘেয়েমি দুর
হবে।
.
.
অতঃপর
ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায়
হিংসা
দিয়ে নয়।ভালবাসা দানে বাড়ে কমে
না।
যতযত ভালবাসা দিবে সবাই তেমন
ভালবাসা তোমাকে দিবে। সবাইকে
ভালবাসবে।আর তুমি যদি এতকিছু কর
তাহলে আমি নিশ্চয় তোমাকে খারাপ
রাখতে চাইব না?
আর একটা মেয়ের কাছে স্বামীর সুখের
চেয়ে বড় কিছু নেই।
.
.
এমন কিছু করবে যেন এইঘর টাকে স্বর্গ
মনে
হয়।
প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বা।
তুমি অনেক রুপসী কিন্তু সেটা সবার
জন্য
নয়। তাই বাইরে সংযত হয়ে চলাফেরা
করবে।
.
.
তোমার কিছু বলার থাকলে বল।
মিম মাথা উঠেই নিলয় এর দিকে
তাকালে
পারভেজ দেখে মিম কাঁদছে।
পারভেজ বলল কাঁদছ কেন?
মিম বলল জীবনে কাউকে বলিনি আজ
বলছি
"আমি তোমাকে ভালবাসি "
আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার তোমার
মত
কাউকে জীবনে সঙ্গি করে পাওয়া।
.
.
পারভেজ বলল আমিও ভালবাসি
তোমাকে
কথা বলতে বলতে আযান দিয়ে দিল
যাও তুমি নামাজ পরে ঘুমাতে যাও
আমি
মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে
আসতেছি।

© 2023 by The Mountain Man. Proudly created with Wix.com

  • Black Facebook Icon
  • Black Twitter Icon
  • Black Pinterest Icon
  • Black Flickr Icon
  • Black Instagram Icon

Join our mailing list

bottom of page